
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দু’দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ জন্য এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান সেনাপ্রধান। তিনি এ সপ্তাহে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন।
জেনারেল আজিজ বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে। কাজ করে সরকারের সহায়ক হিসাবেও। সরকারের যে পলিসি থাকে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও আমাদের কাজ। তাই দু’দেশের সামরিক বাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণসহ দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয়ে দু-দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, এ সফরে তা নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের সম্পর্ক যে অবস্থায় আছে, তা আরও ভালো করার জন্য আমরা আলোচনা করব। কারণ যত এনগেজমেন্ট বেশি হবে তত সম্পর্ক ভালো হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নই এ সফরের উদ্দেশ্য।
পাঁচ বছর ধরে দু’দেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে সফর বিনিময় বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া দেশটি সফর করেছিলেন।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করছে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলছে। এমন সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।