
নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীর অধিকার পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছে সীমা নামে এক নববধূ। জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এই নববধূ। ২০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে নববধূকে স্বামীর বাড়িতে তুলে নিচ্ছেনা শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়। দেবর, ননদ ও শাশুড়ি নববধূ সীমা আক্তারকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়। ভৈরব জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ২য় বর্ষের ছাত্রী সীমা আক্তার রায়পুরার সাহেরচর গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে। তবে বিয়ে মানেন না বলে সীমার স্বামী জানিয়েছেন। অজ্ঞান করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে করানো হয়েছে।
এদিকে নববধূর ওপর নির্যাতন, যৌতুকদাবি ও মারপিটের অভিযোগ এনে রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
সূত্রে জানা যায়, রায়পুরার বড়চর গ্রামের আব্দুল্লাহ মুখারজেন ছেলে জুবায়ের হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চার মাস পূর্বে উভয়পক্ষের অভিভাকদের উপস্থিতিতে কাজি অফিসে জুবায়ের ও সীমার বিয়ে পড়ানো হয়। পরে অনুষ্ঠান করে নববধূকে বাড়িতে তুলে নেয়া হবে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সীমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সম্প্রতি সীমার স্বামী জুবায়ের পুনরায় অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন খবরে সীমা স্বামীর বাড়িতে যায়। ওই সময় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ঘরে যেতে বাধা দেয়।
একপর্যায়ে স্বামীর ঘরে যেতে চাইলে তার ওপর লোকজন চড়াও হয়। এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। এতে রাজি না হওয়ায় দেবর জুনায়েদ ননদ- সানি, রোকসানা ও শাশুড়ি মমতাজ বেগম ও খালা শাশুড়ি নূরনাহার বেগম তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। মারপিট করে তাকে বাড়ির বাইরে বের করে দেয়। একই সাথে ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে স্বামীর বাড়ির আঙ্গিনায় অনশনে বসে সীমা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিষয়টি রায়পুরা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি আমাদের নলেজে এসেছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।